বিজ্ঞাপন স্থান

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ: নতুন বছরের অপেক্ষায় শিক্ষকরা

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আবারও জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন। দীর্ঘদিনের এই দাবিতে এখনও সুস্পষ্ট আশ্বাস না পেয়ে তারা আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষক নেতাদের ভাষ্যমতে, শুধু আশ্বাস নয়—এবার তারা বাস্তব পদক্ষেপ চান। আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা মনে করছেন, জাতীয়করণ প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ। বিশেষ করে আইনগত দিক এবং অর্থনৈতিক চাপ বিবেচনা করলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন শেষে নতুন সরকার দায়িত্ব নিলে এ বিষয়ে অগ্রগতি ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আন্দোলনের পটভূমি

২০১৮ সাল থেকেই জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। সে সময় সরকার কিছু ভাতা বাড়ালেও জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজধানীতে বড় সমাবেশ করেছেন। সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কয়েক হাজার শিক্ষক মহাসমাবেশ করেন।
সেদিন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে বৈঠক হলেও শিক্ষকরা প্রত্যাশিত আশ্বাস পাননি। আবরার স্পষ্টভাবে জানান, “জাতীয়করণ একটি কঠিন বিষয়, এটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব।”

বর্তমান অবস্থা

সম্প্রতি শিক্ষকরা ৩০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন। এবার নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী ৭ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ হবে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি এ কর্মসূচির আয়োজন করছে।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বলছে, নতুন সরকার গঠনের পরেই কেবল এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব।